শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত
বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সরিষার খেতে ফুলের সমারোহ

বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সরিষার খেতে ফুলের সমারোহ

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাটে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সরিষার খেতে ফুলে ঢাকা। লালমনিরহাটের চারদিকে তাকালেই দেখা যায় হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। ফুলের সঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জন শুনতে বেশ ভালো লাগে। সরিষার মাঠে গেলে ফুলের গন্ধে মন ভরে ওঠে। হলুদ রং মন কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে এ বছর লালমনিরহাটে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে।

 

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে সরিষার আবাদ হয়। ফলনও হয় বেশ ভালো। আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক কোমর বেঁধে মাঠে নামেন সরিষার আবাদ করতে। এক সময় লালমনিরহাটে আমন ধান কাটার পর বিস্তৃর্ণ জমিগুলো পড়ে থাকত। কিন্তু বর্তমানে লালমনিরহাটে আমন ধানের জমিতে সরিষার আবাদ হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন কোনো রোগবালাই না হলে এবার লালমনিরহাটে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলায় বিস্তৃর্ণ মাঠে ব্যাপক হারে সরিষার চাষ হয়েছে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বছর তিনি ১বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার রোগবালাই দেখা দেয়নি। প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৬মন হারে সরিষার ফলন হবে।

 

ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী বলেন, সরিষা আবাদের পরই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা যায়। এতে জমিতে সার কম লাগে। তাছাড়া সরিষার পাতা ও শিকড় সবুজ সারের কাজ করে এবং বোরো ধানের ফলনও ভালো হয়।

 

ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার, সরিষার চাষে লাভ বেশি খরচ কম। তাছাড়া সহজেই বিক্রি করা যায়। সরিষার আবাদ ঘরে তোলার পর ওই জমিতেই আবার কম সারে বোরো ধানের চাষ করা যায়। তাই লালমনিরহাটে কৃষকরা সরিষার চাষ করে আসছেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান জানান, লালমনিরহাটে এবার বাম্পার সরিষার আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষককে একের অধিক ফসল ফলানোর জন্য নানাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। তাছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে কৃষকের সঙ্গে অবস্থান করছে, যাতে কৃষকের কোনো প্রকার সমস্যার সৃষ্টি না হয়। আশা করা হচ্ছে, প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এবার লালমনিরহাট জেলায় বাম্পার সরিষার ফলন হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone